ফেইসবুকে একটি ব্যবসায়িক পেজ কিভাবে খুলবেন


ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজারের বেশি বন্ধু রাখা যায় না। কিন্তু ফেসবুক পেজের ক্ষেত্রে এ রকম কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। যদি আপনি বেশি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চান, তাহলে ফেসবুক পেজের বিকল্প নেই।

যখন আপনি ফেসবুক পেজ খুলবেন, তখন আপনার মাথায় থাকবে এটা সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য। সে ক্ষেত্রে আপনি নিশ্চয়ই আপনার কাজ নিয়েই বেশি কথা বলবেন এখানে। ফলে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। আপনি আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি বাড়িয়ে নিতে পারেন। ফলে সবাই আপনার পোস্ট দেখতে পারবে না। অন্যদিকে আপনার যেসব বিষয় জানানো প্রয়োজন, সেগুলো জানাতে নিজের পেজটি ব্যবহার করুন।
ফেসবুকে বা সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিলে ফেসবুকের পেজগুলোই আগে আসে এবং এগুলো তাড়াতাড়ি খুঁজে পাওয়া যায়। তাই যদি আপনি চান মানুষ আপনাকে বা আপনার প্রতিষ্ঠানকে সহজে খুঁজে পাবে, তাহলে ফেসবুক পেজে অ্যাকটিভ থাকুন।


ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে শুধু বন্ধুরাই আপনাকে ট্যাগ করতে পারে। কিন্তু ফেসবুকে পেজ থাকলে যে কেউ ট্যাগ করতে পারবে। এতে আপনি বা আপনার প্রতিষ্ঠান অন্যদের কাছে দ্রুত পরিচিতি পাবে। আপনার দেওয়া পোস্টগুলোও শেয়ার হবে দ্রুত।

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে মনিটরিং করার সুবিধা পাওয়া যায়। কারণ, ফেসবুক পেজে রয়েছে অ্যানালিটিক্স। আপনার পোস্টগুলো কাদের কাছে যাচ্ছে, প্রতিদিন কত মানুষ আপনার পেজে আসছে, সেটা জানতে পারবেন। লাইক আর ডিজলাইক কত, তার সব হিসাবই আপনি পাবেন পেজের অ্যানালিটিক্স থেকে।

বিভিন্ন পেজের আপডেট ফলোয়ারদের নিউজফিডে দেখা যায়। আর যদি কোনো পোস্ট বুস্ট করা হয়, তাহলে সেটা ফলোয়ারদের বাইরে অন্যদের নিউজফিডেও চলে যায়। এ ক্ষেত্রে পরিচিতি বাড়ে। বিভিন্ন পণ্য বা সেবা সম্পর্কেও মানুষ জানতে পারে।

বিজ্ঞাপন হিসেবে অনেক প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে নানা রকম প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। অনেক সময় ভোট দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকে। এসব প্রতিযোগিতার জন্য সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য পেজগুলোতে নানা রকম সুবিধা রয়েছে, যা ব্যক্তিগত প্রোফাইলের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব নয়।
ফেসবুকে বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও এ জন্য অর্থ খরচ করতে হয়। তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফেসবুকের বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা প্রমাণিত। রয়েছে বিভিন্ন পোস্ট বুস্ট করার সুবিধা। এতে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে আপনার পোস্টটি। কিন্তু ব্যক্তিগত প্রোফাইলে ফেসবুকের এই সুবিধা ব্যবহার করার সুযোগ নেই।

আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করার ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড একটাই। তাই যদি আপনি অন্য কাউকে আপনার প্রোফাইলে ঢুকতে দিতে চান, তাহলে আপনার পাসওয়ার্ড তাকে দিতে হবে। আর পাসওয়ার্ড পেলে আপনার অ্যাকাউন্টের সবকিছুই তার হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক পেজে রয়েছে অ্যাডমিন সুবিধা। আপনি পছন্দের কাউকে অ্যাডমিন বানিয়ে দিতে পারেন। তারা আপনার হয়ে বিভিন্ন পোস্ট দিতে পারবে। এতে আপনার গোপনীয়তা বজায় থাকবে, কারণ অ্যাডমিনদের ক্ষমতা সীমিত।

নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ফেসবুক পেজ হচ্ছে প্রচারের সবচেয়ে ভালো উপায়। কারণ, পেজ থাকলে বাকিরা সেখানে চেকইন দিতে পারে বা ট্যাগ করতে পারে। এর ফলে অন্যরাও আপনার পেজ সম্পর্কে জানতে পারে।

পেজ এর মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য নানা রকম জব/ নিয়োগ প্রকাশ করতে পারবেন ।আছে - শপ গোছানোর সুবিধা , অফার দেবার সুবিধা , একটু সময় নিয়ে ফেসবুক পেজ এর সকল ফিচার গুলি একটু ঘেটে দেখবেন ।


   
           যারা এখনো অনলাইন বিজনেস এর জন্য নিজেদের ফেসবুক পেজ খুলেন নি তাদের জন্য - ফেইসবুকে একটি ব্যবসায়িক পেজ কিভাবে খুলবেন


প্রথমে আপনার আইডি লগ ইন করে নিতে হবে। এরপর মোবাইল দিয়ে যদি খুলতে চান তবে -উপরে পতাকা চিহ্নিত সিম্বলে টাচ করুন তারপর ( + Create ) অপশনে টাচ করুন , তারপর ক্রিয়েট ইওর পেজ - গেট স্টারটেড এ টাচ করুন । আর কম্পিউটার দিয়ে খুলতে চাইলে উপরে ডান পাশে Create এ ক্লিক করুন।


আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম এবং category সিলেক্ট করে দিয়ে continue বাটনে ক্লিক করুন


তারপর এইখানে আপনার পেজের জন্য যেই প্রোফাইল পিকচার / আপনার প্রতিষ্ঠানের লোগো ( 180 x 180 pixels ) দিবেন তা এড করুন।এড করার জন্য Upload a Profile Picture এ Click করুন।তারপর আপনার পেজের প্রোফাইল পিকচারের জন্য যেই ছবি রেখেছেন তা সিলেক্ট করুন। তবে আপনি এখন ইচ্ছে করলে এটা স্কিপ করে পরেও এড করে নিতে পারেন।


তারপর এইখানে আপনার পেজের কভার ফটো ( 820 x 312 pixels ) এড করতে পারেন। এখন এড করতে আগের প্রোফাইল পিকচারের মতো করেই এড করে নিন। আর এখন এড না করলে আগের মতোই স্কিপ করতে পারেন।

পেজ এর সব গুলো অপশন একটু ভালভাবে চোখ বুলিয়ে নিন - বিশেষ করে এবাউট অপশন এবং সেটিংস

রুটিনমাফিক পোস্ট দিন ,একটি ব্যবসায়িক পেজের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে রুটিন পোস্টের উপর। দুদিন টানা পোস্ট দিয়ে দুদিন বন্ধ রাখলে আপনার পাঠকরা পেজের সাথে সংযুক্ত থাকবে না কিংবা আপনার পেজটি তাদের নিউজফিড থেকে হারিয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিনই কিছু না কিছু পোস্ট করতে হবে।

সবরকম ফিচার ব্যবহার করুন

নিজের পেজটির প্রসার এবং প্রচার বাড়াতে সবধরনের ফিচারের সর্বোচ্চ ব্যবহারটুকু করুন। যেমন- যদি কোনো কারণে আপনি সারাদিন কম্পিউটারে বসতে না পারেন, তাহলে শিডিউল পোস্ট করে রাখুন আগের দিনই। এতে করে সময় মতো পোস্ট পেজে যেতে থাকবে। ইভেন্ট ফিচারটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করে পেজের অনুসারী বাড়াতে পারেন।

Comments

Popular Post

450 Digital Marketing Free Tool | ৪৫০ ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রি টুল

80+ Canva Keywords for CREATIVE DESIGNS

Why Hire a Digital marketing Consultant?