অনলাইন মার্কেটিং চেকলিস্ট

 


সময়ের দাবী এবং অস্তিত্ব কে টিকিয়ে রাখতে হলে আপনাকে এখনি - ডিজিটাল তথা অনলাইন মার্কেটিং প্লাটফর্ম এ বিচরণ করতে হবে অতি দক্ষতার সাথে ।

ফেসবুক পেইজ :

আপনি নিজে চাইলে এটি খুলে ফেলতে পারবেন। অন্য কারোর জন্যে অপেক্ষা করার প্রয়োজন সাধারণত হয় না। আপনার একটি ফেসবুক প্রোফাইল থাকলে তা দিয়েই অনায়াসে ফ্রিতে আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ফেসবুক পেইজ খুলে ফেলতে পারবেন। তবে উল্লেখ্য যে, আপনার ফেসবুক পেইজের সম্পূর্ণ সেটাপ করার পরে পেইজ মেইনটেইন করার কাজটি আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের কাউকে অথবা বাইরের কোন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দিতে পারেন। কন্টেন্ট লিখা, মেসেজের উত্তর দেয়া , ক্লায়েন্ট ডিল ইত্যাদির কাজের জন্যে । আপনার সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ, শুধু নিয়মিত নজরদারি এবং নির্দেশনাই যথেষ্ট।

ফেসবুক গ্রুপ মেইন্টেইন :

আপনার বিজনেস ক্যাটাগরি অনুযায়ী - বিভিন্ন গ্রুপ এ জয়েন করা - গ্রুপের রুলস অনুযায়ী নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করা । চেষ্টা করুন সেল পোস্ট এর চাইতে ইনফরমেটিভ পোস্ট করার - সেই সাথে গ্রুপে সবার সাথে পরিচিত, আস্থা এবং বিশ্বাসের যায়গা করে নেয়া ।

ওয়েবসাইট :

প্রাথমিক অবস্থায় সেলস জেনারেট না হইলেও ডিজিটাল প্রেসেন্স এর জন্যে একটা ওয়েবসাইট অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। আপনার বিজনেস কার্ডে একটা ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস থাকলে অনেকেই হয়ত ঢুঁ দিয়ে আসবে, একটা ভরসা পাবে। এইটা আপনার লাগবেই।অনেকেই হয়ত চিন্তা করে যে তার ব্যবসার জন্যে সরাসরি ওয়েবসাইট প্রয়োজন নেই, কিন্তু বর্তমানের গুগল সার্চ মুখি বাজারে নিজের একটা ওয়েবসাইট থাকলে দোষের কিছু নাই। তবে আর যাই হোক, “ ৩ হাজার টাকায় ওয়েবসাইট / ৫ হাজার টাকায় নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইট” এরকম চটকদার পোস্ট দেখে বিভ্রান্ত হবেন না।

মনে রাখবেন, “সস্তার তিন অবস্থা” এবং “জিনিস যেটা ভাল, তার দাম তো বেশি হবেই”।

ওয়েবসাইট তৈরি এর ক্ষেত্রে প্রফেশনাল কারো কাছ থেকে বানানোর চেষ্টা করুন

গুগল মাই বিজনেস :

গুগলের নিজস্ব একটি লিস্টিং সার্ভিস আছে যেখানে আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে লিস্ট করাতে পারবেন। আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে । আপনার প্রতিষ্ঠানের একটি স্থায়ী ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের ধরণ, প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস এর তথ্য দিয়েই আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন। প্রোফাইল ভেরিফাই এর জন্যে প্রোফাইল খোলার ১৫ দিনের মধ্যে আপনার দেয়া ঠিকানায় একটি কোড আসবে যা প্রোফাইলে প্রদান পূর্বক আপনার লিস্টিং একটিভ হয়ে যাবে। (করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে ডাকযোগে কোড আসতে সময় বেশি লাগে)। গুগল সার্চে সহজে চলে আসার এটি একটি ভাল উপায় এবং গুগল ম্যাপেও আপনার প্রতিষ্ঠানটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে ।

ইউটিউব চ্যানেল :

ব্যবসার ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার একটি অংশ ইউটিউব চ্যানেল। আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে আপনি সহজেই আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলতে পারবেন। ভাবছেন, একজন ব্যবসায়ী ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে কিভাবে লাভবান হবে? মনে করেন, আপনি লেদার গুডস বিক্রি করেন। সেক্ষেত্রে আপনার প্রোডাক্ট এর রিভিউ, প্রোডাক্ট কিভাবে পরিষ্কার রাখবেন, আসল এবং নকল চেনার উপায় ইত্যাদি নিয়ে আপনি ভিডিও বানাতে পারেন এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন।

আপনার ভিডিও দেখে আপনার ব্র্যান্ডের সাথেও তারা পরিচিত হবে এবং প্রয়োজনে অর্ডারও করতে পারে। সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার সার্ভিস গ্রহণ করা একটি যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত।

ফেসবুক পেইড মার্কেটিং ( বুস্টিং সার্ভিস ) :

ফেসবুক পেইড মার্কেটিং অর্থাৎ ফেসবুক বুস্টিং নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। এই বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করলে লিখতেই থাকব, এখন অল্প কথায় সারি। নতুন করে ফেসবুক পেইজ খুললে পরিচিতির জন্যে আপনার বুস্টিং করা প্রয়োজন। তবে দয়া করে, এক হাজার টাকায় ৫ হাজার লাইক, ২ হাজার ফলোয়ার ইত্যাদি পোস্ট দেখে প্রতারিত হবেন না। এই ধরণের লাইকগুলো মূলত আসে ফেইক অ্যাকাউন্ট থেকে এবং যা পরবর্তীতে আপনার কোন কাজেই আসবে না, কারণ তারা তো আপনার ক্রেতা নন।

সুতরাং বুস্টের ক্ষেত্রে আপনার অডিয়েন্স এভাবে সিলেক্ট করা উচিত যারা আপনার পণ্য অথবা সেবার প্রতি ইনটারেস্টেড। একটি সলিড অডিয়েন্স বেইজ তৈরির জন্যে প্রফেশনাল কাউকে দিয়ে বুস্টিং করান, টার্গেট অডিয়েন্স এর যৌক্তিকতা যাচাই করে নিন এবং বুস্ট শেষে নিজের রিপোর্ট বুঝে নিন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার খরচ করা টাকা যথাযথ কাজে লেগেছে কিনা।

ডাটাবেইজ :

আপনার কাছে আপনার ক্লায়েন্টের এবং সম্ভাব্য ক্লায়েন্টের যে ডাটা আছে সেটাও আপনার অনলাইন মার্কেটিং এর পুঁজি। আপনার পেইজ, ওয়েবসাইট, ইউটিউব সবকিছু ওপেন হওয়ার পর আপনি তাদেরকে এই ডাটাবেইজের মাধ্যমে জানাতে পারবেন। তাদেরকে বিভিন্ন অফার পাঠাতে পারবেন এবং সর্বোপরি তাদের জন্যে ভ্যালু অ্যাড করতে পারবেন। সুতরাং আপনার একটি সলিড ডাটা বেইজ তৈরি করে ফেলুন এবং তাদের সাথে একটি যোগাযোগ গড়ে তুলুন, ভবিষ্যতে নানান ভাবে একে অন্যের উপকারে আসতে পারবেন।

একদম শুন্য থেকে শুরু করে যদি উপরের চেক লিস্ট ফলো করা যায় তাহলে সহজেই একটি ডিজিটাল অস্তিত্ব তৈরি হয়ে যাবে যা ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি পিলার হিসেবে কাজ করবে। আপনার পিলার যত মজবুত হবে, আপনার মার্কেটিং ও তত মজবুত হবে। আপনার বিজনেস সত্যি ফিরে পাবে আপন গতি ।

- এত্ত কিছুর ঝামেলা যদি কেউ না নিতে চান - দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই - এইরকম ঝামেলা সামলাতে আমি আছি ।

0191 449 5531

Comments

Popular Post

450 Digital Marketing Free Tool | ৪৫০ ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রি টুল

80+ Canva Keywords for CREATIVE DESIGNS

Why Hire a Digital marketing Consultant?